Search This Blog

Sunday 28 July 2013

একটি শর্ট (ফিল্ম) রিভিউঃ দা পেপারম্যান

ধরুন আপনি একদিন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য একাকী একটা ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে হঠাৎ আবির্ভাব হল এক সুন্দরী রমনীর। "প্রথম দেখায় প্রেমে" পড়ে গেলেন আপনি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের ভুলে সেই রমনী আপনাকে ফেলে দ্রুতগামী ট্রেনে চড়ে চলে গেল। পেয়েও হারানোর বেদনায় মুহ্যমান আপনি বহুতল ভবনের উপরতলায় আপনার অফিসে গেলেন। আপনি জানালা দিয়ে বিষন্ন চোখে বাইরে তাকালেন। হঠাৎ দেখলেন, আপনার স্বপ্ন কন্যা রাস্তার অপরদিকে আরেকটি বহুতল ভবনে খোলা জানালার পাশে বসে কাজ করছে। হাত নেড়ে মনোযোগ আকর্ষন করতে ব্যর্থ আপনি কি করতে পারেন আপনার এক বুক ভালবাসা, কল্পনা শক্তি আর অফিসের একগাদা কাগজ নিয়ে?

এরকমই এক কাহিনী নিয়ে জন কার্স পরিচালিত ডিজনীর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি "দা পেপারম্যান"। সাত মিনিটেরও কম দৈর্ঘের এই এনিমেটেড ছবিটি ২০১২ সালে অস্কারে "সেরা এনিমেটেড স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচিত্র" পুরস্কারপ্রাপ্ত।

"ইটস টাফ টু বি এ বার্ড" এর পর ৪৩ বছরের মধ্যে এই ছবিটি ডিজনী নির্মিত অস্কারে সেরা এনিমেটেড স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচিত্র শাখায় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম ছবি।

৩ডি এনিমেশন চলচিত্রের দাপটের যুগে ২ডি ফরমেটে নির্মিত ছোট্ট এই প্রেমের ছবিটি দেখে সবার ভাল লাগবে এই আশা রেখে এই "স্বল্প দৈর্ঘ্য" রিভিউটি শেষ করছি।

হ্যাপি মুভি টাইম।

ইউটিউব লিঙ্ক

মুভি রিভিউঃ ম্যান ইন ব্ল্যাক-৩

একটা সিক্যুয়েল মুভি দেখতে গেলে দ্বিমুখী সমস্যায় পড়তে হয়।  প্রথমতঃ আগের পর্বগুলো দেখা না থাকলে মুভির আসল মজা ভাল ভাবে পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়তঃ আগের পর্বগুলো দেখা থাকলে শুরু হয় অন্য সমস্যা। তখন আগের পর্বের সাথে এই মুভির নানারকম তুলনা মাথায় গিজগিজ করে। এই ছবিটা আগের ছবিকে ছাড়িয়ে যেতে পারল কি না, অভিনয় আগের ছবির চেয়ে ভাল না খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি। ম্যান ইন ব্ল্যাক -৩ অনেক ক্ষেত্রেই তার আগের পর্বগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারে নি ঠিকই, তবে সময়োপযোগী রুপান্তরের মাধ্যমে একটা চালু ফ্রাঞ্চাইজ হিসাবে টিকে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ যোগাড় করে ফেলেছে।

ম্যান ইন ব্ল্যাক সিরিজের তৃতীয় এই মুভিটির আই এম ডি বি রেটিং ৭.০ আর রোটেন টমেটো রেটিং ৬৯%।

কাহিনী সংক্ষেপঃ আমাদের পরিচিত এজেন্ট কে (টমি লি জোন্স) আর এজেন্ট জে (উইল স্মিথ)কে দিয়ে শুরু হয় কাহিনী। এলিয়েন আক্রমন থেকে পৃথিবীকে বাচাতে সদা তৎপর এই দুই এজেন্টের সামনে এবার মুখোমুখী পুরোনো শত্রু "জানোয়ার বরিস" যাকে ৪০ বছর পুর্বে এজেন্ট 'কে' গ্রেফতার করে চাঁদে অবস্থিত সর্বোচ্চ নিরাপত্তার 'লুনার ম্যাক্স' কারাগারে কয়েদ করে রেখেছিল। 'লুনার ম্যাক্স' থেকে পালিয়ে "জানোয়ার বরিস" পৃথিবীতে এসেছে পৃথিবী ও পুরোনো শত্রু এজেন্ট 'কে' কে ধ্বংস করতে। টাইম জাম্পের মাধ্যমে "জানোয়ার বরিস" অতীতে ফিরে গিয়ে খুন করে এজেন্ট 'কে' কে। এখন পৃথিবী আর এজেন্ট 'কে' কে বাচাতে এজেন্ট 'জে' অতীতে  যায়। সেখানে এজেন্ট 'জে'র দেখা হয় কমবয়সী এজেন্ট 'কে' ( যোশ ব্রোলিন ) এর সাথে। দুজনে মিলে পৃথিবীকে বাচানোর মিশনে নামে।

অনেকদিন পর আমার প্রিয় একজন অভিনেতা উইল স্মিথকে অভিনয়ে দেখে অনেক ভাল লেগেছে। অসাধারন অভিনয় করেছেন। টমি লি জোন্স কে দেখে একটু দুঃখ পেয়েছি। ভদ্রলোক আসলেই বুড়িয়ে গেছেন, যদিও তার বয়সী নায়কেরা এখনও একশন ফিল্ম করে যাচ্ছেন। কমবয়সী এজেন্ট 'কে' এর চরিত্রে যোশ ব্রোলিন অসাধারন অভিনয় করেছেন। মনে হচ্ছিল টমি লি জোন্সই বোধহয় তরুন হয়ে গেছেন। যোশ ব্রোলিন টমি লি জোন্স কে অনুকরন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

দুই এজেন্টের চরিত্রের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া ছিল। তাদের খুনসুটি, আবেগাক্রান্ত মুহুর্তগুলো খুব উপভোগ করেছি। সিনেমার শেষ দিকে একটা চমক আছে। তাছাড়া মানুষের চাঁদে যাওয়ার মুহুর্তটাকে আবার বিশ্বাসযোগ্যভাবে পুনঃনির্মান করে দেখানোর জন্য পরিচালককে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয়।

"জানোয়ার বরিস" চরিত্রে জেমেইন ক্লেমেন্ট সাদামাটা অভিনয় করেছেন। তাকে কখনোই সুপার ভিলেন মনে হয় নি । ভবিষ্যত দেখতে পারা গ্রিফিন (জেমেইন ক্লেমেন্ট) যথেষ্ট হাস্যরস জুগিয়েছে। সিনেমার একটি দৃশ্যে হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে গিয়েছিল, যখন 'টাইম জাম্প' করার জন্য এজেন্ট জে কে এম্পায়ার  স্টেট বিল্ডিং থেকে ঝাপ দিতে বলা হল।

বুড়িয়ে যাওয়া টমি লি জোন্স কে বাদ দিয়ে নতুন এজেন্ট 'কে' আসায় নতুন করে শুরু হল এই জনপ্রিয় সিরিজের যাত্রা। এই পরিবর্তন আপনার ভাল লাগে কি না, বুঝার জন্য মুভিটি দেখে ফেলুন ঝটপট।

সবশেষে, সিনেমার একটি ডায়লগ, যেটি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে, রিভিউর সাথে অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলতে ইচ্ছা করছে, ডায়লগটি হল, "যে প্রশ্নের উত্তর তুমি জানতে চাও না, সে প্রশ্ন কখনো করো না"।

সবাই ভাল থাকবেন। হ্যাপি মুভি টাইম।

মুভি রিভিউঃ বারফি

"বারফি" সিনেমাটি দেখার পর রিভিউ লেখার লোভটা আর সামলানো গেল না। সিনেমাটির ট্রেলার দেখার পর সিনেমাটি কখন দেখতে পাব সেই আশায় ছিলাম। এবং সিনেমাটি দেখার পর মনে হচ্ছে , অনেক দিন পর একটি ভাল হিন্দি সিনেমা দেখলাম। হৃদয়ের কোমল তন্ত্রীগুলো নাড়িয়ে দিয়ে গেল বিশুদ্ধ আবেগের কিছু মুহুর্ত।

প্রচারের আলোয় থাকা হিন্দি সিনেমাগুলো কোন না কোন ভাবে দেখা হয়েই যায়। ডাউনলোড করে, ধার করে, ইত্যাদি ইত্যাদি। "বারফি" সিনেমার ট্রেলার দেখে আর মুভি রিভিউগুলো পড়ে সিনেমাটি সম্পর্কে যা ধারনা হয়েছিল, দেখার পর মনে হল প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশিই পাওয়া গেল।

"বারফি" ছবিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৯ আর রোটেন টমেটো বলছে ছবিটির ৮৯% ফ্রেশ। অনুরাগ বসুর লেখা ও পরিচালিত ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন এস রবি বার্মান।

সংক্ষেপে সিনেমার কাহিনী এরকম - বোবা কালা মারফি/ বারফির (রনবীর কাপুর) জীবনের সাথে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ঝিলমিল (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) আর সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ে শ্রুতির (ইলেনা ডি ক্রুজ) জীবন জড়িয়ে যায়। মারফির বিচিত্র হাস্যরসাত্মক কর্মকান্ড চলতে থাকে, একে একে আসতে থাকে অপহরন আর খুন রহস্য, সেই সাথে এক অদ্ভুত মানবিক আর আবেগঘন কাহিনীর অবতারনা হতে থাকে।


আমাদের সামাজিক মানুষেরা পরিচ্ছন্ন আবেগের প্রকাশ খুব কম ঘটাতে পারি, নানা কারনেই। সেই কারনেই শিশু আর প্রতিবন্ধিদের আবেগের প্রকাশকেই অনেকটা পরিচ্ছন্ন আর বিশুদ্ধ বলা যেতে পারে । দুজন প্রতিবন্ধি মানুষের ভালবাসা আর আবেগের জায়গায় মেকি কোন ভাব থাকতে পারে না। আমাদের সামাজিক মানুষেরা এই বিশুদ্ধ  আবেগের কাছে স্পর্শ পেয়ে হঠাৎই দুফোটা চোখের জল ফেলে। "বারফি" এমনই এক অনুভূতি দিয়ে গেল।

আবেগঘন পরিবেশ তৈরী করে দর্শকের মন ছুয়ে যাওয়ার একটা প্রবনতা হিন্দী সিনেমার পরিচালকদের থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সবসময় এই চেষ্টা সফল হয় না। "বারফি" এই প্রচেষ্টায় সফল। কাহিণী গড়ানোর সাথে সাথে আবেগের কামড় দর্শকের মনে ভালই দাগ কাটবে।

সিনেমায় রনবীরের বোবা কালার অভিনয় অনবদ্য, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ঝিলমিল চরিত্রের কথা আমার অন্তত অনেকদিন মনে থাকবে, ইলেনা চমৎকার অভিনয় করেছেন, সর্বোপরি দার্জিলিং এর মনোমুগ্ধকর লোকেশন সিনেমাটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

Wednesday 16 May 2012

মুভি রিভিউঃ WALL-E

WALL-E একটি এনিমেটেড ছবি। এন্ড্রু স্ট্যানটন পরিচালিত পাক্সার ও ডিজনির এই ছবিটি ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। IMDB Rating ১০ এর মধ্যে ৮.৫ ।

কাহিনী সংক্ষেপঃ একটু দূর ভবিষ্যতের কাহিনী। পৃথিবী পরিত্যাক্ত। মানুষ নভোযানে করে মহাশুন্যে বাস করে। WALL-E একটি ময়লা পরিস্কারক রোবট। সকাল সন্ধ্যা ময়লা স্তুপ করে তার দিন কাটে। একাকি জীবনে একটা রোবট তেলাপোকা তার একমাত্র সাথী। WALL-E বিচিত্র সব জিনিশ সংগ্রহ করতে ভালবাসে, ভালবাসে গান শুনতে, প্রিয় গান বাজিয়ে আকাশের তারা দেখতে...............

কেমন একটু খটকা লাগছে তাই না, কেমন যেন একটু মানবীয় গল্প......কিন্তু গল্পটা এমনই......তো হঠাৎই একদিন, হ্যা, হঠাৎই একদিন ইভ নামক এক রোবটের আগমনে WALL-E র শান্ত, নিস্তরঙ্গ জীবনে ব্যাপক আলোড়ল উঠল, WALL-E ইভকে ভালবেসে ফেলল...............

..................তারপর ঘটতে শুরু করল নানা মজার এবং স্বাসরুদ্ধকর ঘটনা, যার ফলশ্রুতিতে মানব জাতির ইতিহাসই বদলে গেল............

রোমান্টিক জুটি WALL-E আর ইভকে দেখুন.........



ছবিতে বাক্সসদৃশ WALL-E র চেহারায় সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, হতাশা, ভালবাসার নিখুত পরিস্ফুটন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অসাধারন এনিমেশন, গল্পের নিখুত বিন্যাস, WALL-E র বিচিত্র হাস্যরসাত্মক কর্মকান্ড, সবমিলে ছবিটিকে একটি সববয়সের দর্শকের জন্য একটি অবশ্য দর্শনীয় সিনেমায় পরিনত করেছে।


ডাউনলোড লিংক  

Monday 14 May 2012

মুভি রিভিউঃ শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস

শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস
মুক্তির তারিখঃ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১
জেনারঃ একশান-এডভেঞ্চার-ড্রামা
রান টাইমঃ ১২৯ মিনিট
আইএমডিবি রেটিং- ৭.৫

প্রথমেই বলে নিই, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজের প্রথম ছবিটি যাদের দেখে ভাল লেগেছে, তারা ঝটপট 'শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস' ছবিটি দেখে ফেলুন, আশা করি হতাশ হবেন না।

যারা আগের ছবিটি দেখেননি এবং আর্থার কোনান ডয়েলের 'শার্লক হোমস' চরিত্রের ভক্ত, তাদের জন্য কিছু সতর্কবানী দিয়ে এই মুভি রিভিউ শুরু হবে।

'শার্লক হোমস' চরিত্রের কথা ভাবলেই শান্ত, স্থিতধী একটা লোকের কথা মনে হয়, যে তার প্রখর পর্যবেক্ষন শক্তি দিয়ে মুহুর্তেই যে কোন সমস্যা সমাধান করে দিতে পারেন।

এবার সিনেমার কথায় আসি। 'শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস' একটি হলিউডি মারদাঙ্গা ছবি। প্রতিটি সেকেন্ডে বানিজ্যিক প্রয়োজনে টানটান উত্তেজনা রাখতে গিয়ে শার্লক হোমস চরিত্রের প্রখর পর্যবেক্ষন ক্ষমতার কোন বিশদ বিবরন পাওয়া যাবে না। ছিটেফোটা কিছু একটু পাওয়া যাবে।

প্রচুর গোলাগুলি, বিস্ফোরন, খালি হাতের মারামারি এই ছবিতে আমাদের পরিচিত শার্লক হোমসকে একজন গোয়েন্দা থেকে একশান হিরো বানিয়ে দিয়েছে।

তবে কথা হল এই, আমার মত যারা পছন্দের চরিত্রটিকে বড় পর্দায় দেখতে চান আর হলিউডি একশান প্যাকেজ ফিল্মে যাদের নাক সিটকানোর স্বভাব নেই তাদের ছবিটি ভালই লাগবে আশা করি।

সাল ১৮৯১, ইউরোপের আকাশে ঝড়ো মেঘের ঘনঘটা, ফ্রান্স আর জার্মানীর মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ফলাফল- সিরিজ বোমা হামলা। কারো মতে, জাতিয়তাবাদীদের কাজ, কেউ বলছে নৈরাজ্যবাদীরা দায়ী। এবং অন্য সব সময়ের মতই, শার্লক হোমসের এ ব্যপারে একেবারেই ভিন্ন থিউরি আছে ......... এভাবেই শুরু হয়েছে 'শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস' এর কাহিনী।

তারপর আমাদের শার্লক হোমস বন্ধু ওয়াটসনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন শতাব্দীর সেরা ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর জেমস এফ মরিয়ার্টির যুদ্ধ লাগানোর অশুভ পায়তারা বানচাল করতে। সাথে যোগ হয় এক জিপসীকন্যা সিম আর তার দল। টানা দুই ঘন্টার টানটান উত্তেজনা শেষে শার্লক হোমসের কাছে মরিয়ার্টির পরাজয়।


ছবিতে শার্লক হোমসের চরিত্রে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তার অদ্ভুত বাচনভঙ্গি, অসহিষ্ণু আচরন, সবজান্তা হাবভাব, বিপদে স্থির থাকা, বিচিত্র সেন্স অব হিউমার, সব মিলিয়ে অসাধারন লেগেছে। ড. ওয়াটসন চরিত্রে জুড ল ভাল অভিনয় করেছেন। শার্লক হোমসের চরিত্রের সাথে ড. ওয়াটসনের চরিত্রের রসায়ন চমৎকার হয়েছে। জিপসীকন্যা সিম এর চরিত্রে নুমি রেপেস মোটামোটি ভাল করেছেন। মিসেস ওয়াটসন ও মাইক্রফট হোমস চরিত্র দুটি ভালই আনন্দ দিয়েছে।

আমি একজন ঐতিহাসিক ছবির ভক্ত। একারনে শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস ছবিতে ১৮৯১ সালের লন্ডন আর প্যারিস দেখে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি।

পরিশেষে বলি দু ঘণ্টা স্নায়ুকে টানটান করে মজা দিতে চাইলে আর পুরানো সময়ের মোড়কে একটা আধুনিক মারদাঙ্গা ছবি দেখতে চাইলে ডিভিডি কিনে বা ডাউনলোড করে বসে পড়ুন। হ্যাপি মুভি টাইম। সবাই ভাল থাকবেন।