Search This Blog

Monday 14 May 2012

মুভি রিভিউঃ শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস

শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস
মুক্তির তারিখঃ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১
জেনারঃ একশান-এডভেঞ্চার-ড্রামা
রান টাইমঃ ১২৯ মিনিট
আইএমডিবি রেটিং- ৭.৫

প্রথমেই বলে নিই, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজের প্রথম ছবিটি যাদের দেখে ভাল লেগেছে, তারা ঝটপট 'শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস' ছবিটি দেখে ফেলুন, আশা করি হতাশ হবেন না।

যারা আগের ছবিটি দেখেননি এবং আর্থার কোনান ডয়েলের 'শার্লক হোমস' চরিত্রের ভক্ত, তাদের জন্য কিছু সতর্কবানী দিয়ে এই মুভি রিভিউ শুরু হবে।

'শার্লক হোমস' চরিত্রের কথা ভাবলেই শান্ত, স্থিতধী একটা লোকের কথা মনে হয়, যে তার প্রখর পর্যবেক্ষন শক্তি দিয়ে মুহুর্তেই যে কোন সমস্যা সমাধান করে দিতে পারেন।

এবার সিনেমার কথায় আসি। 'শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস' একটি হলিউডি মারদাঙ্গা ছবি। প্রতিটি সেকেন্ডে বানিজ্যিক প্রয়োজনে টানটান উত্তেজনা রাখতে গিয়ে শার্লক হোমস চরিত্রের প্রখর পর্যবেক্ষন ক্ষমতার কোন বিশদ বিবরন পাওয়া যাবে না। ছিটেফোটা কিছু একটু পাওয়া যাবে।

প্রচুর গোলাগুলি, বিস্ফোরন, খালি হাতের মারামারি এই ছবিতে আমাদের পরিচিত শার্লক হোমসকে একজন গোয়েন্দা থেকে একশান হিরো বানিয়ে দিয়েছে।

তবে কথা হল এই, আমার মত যারা পছন্দের চরিত্রটিকে বড় পর্দায় দেখতে চান আর হলিউডি একশান প্যাকেজ ফিল্মে যাদের নাক সিটকানোর স্বভাব নেই তাদের ছবিটি ভালই লাগবে আশা করি।

সাল ১৮৯১, ইউরোপের আকাশে ঝড়ো মেঘের ঘনঘটা, ফ্রান্স আর জার্মানীর মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ফলাফল- সিরিজ বোমা হামলা। কারো মতে, জাতিয়তাবাদীদের কাজ, কেউ বলছে নৈরাজ্যবাদীরা দায়ী। এবং অন্য সব সময়ের মতই, শার্লক হোমসের এ ব্যপারে একেবারেই ভিন্ন থিউরি আছে ......... এভাবেই শুরু হয়েছে 'শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস' এর কাহিনী।

তারপর আমাদের শার্লক হোমস বন্ধু ওয়াটসনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন শতাব্দীর সেরা ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর জেমস এফ মরিয়ার্টির যুদ্ধ লাগানোর অশুভ পায়তারা বানচাল করতে। সাথে যোগ হয় এক জিপসীকন্যা সিম আর তার দল। টানা দুই ঘন্টার টানটান উত্তেজনা শেষে শার্লক হোমসের কাছে মরিয়ার্টির পরাজয়।


ছবিতে শার্লক হোমসের চরিত্রে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তার অদ্ভুত বাচনভঙ্গি, অসহিষ্ণু আচরন, সবজান্তা হাবভাব, বিপদে স্থির থাকা, বিচিত্র সেন্স অব হিউমার, সব মিলিয়ে অসাধারন লেগেছে। ড. ওয়াটসন চরিত্রে জুড ল ভাল অভিনয় করেছেন। শার্লক হোমসের চরিত্রের সাথে ড. ওয়াটসনের চরিত্রের রসায়ন চমৎকার হয়েছে। জিপসীকন্যা সিম এর চরিত্রে নুমি রেপেস মোটামোটি ভাল করেছেন। মিসেস ওয়াটসন ও মাইক্রফট হোমস চরিত্র দুটি ভালই আনন্দ দিয়েছে।

আমি একজন ঐতিহাসিক ছবির ভক্ত। একারনে শার্লক হোমস- এ গেইম অব শ্যেডোস ছবিতে ১৮৯১ সালের লন্ডন আর প্যারিস দেখে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি।

পরিশেষে বলি দু ঘণ্টা স্নায়ুকে টানটান করে মজা দিতে চাইলে আর পুরানো সময়ের মোড়কে একটা আধুনিক মারদাঙ্গা ছবি দেখতে চাইলে ডিভিডি কিনে বা ডাউনলোড করে বসে পড়ুন। হ্যাপি মুভি টাইম। সবাই ভাল থাকবেন।

No comments:

Post a Comment