Search This Blog

Sunday 28 July 2013

মুভি রিভিউঃ বারফি

"বারফি" সিনেমাটি দেখার পর রিভিউ লেখার লোভটা আর সামলানো গেল না। সিনেমাটির ট্রেলার দেখার পর সিনেমাটি কখন দেখতে পাব সেই আশায় ছিলাম। এবং সিনেমাটি দেখার পর মনে হচ্ছে , অনেক দিন পর একটি ভাল হিন্দি সিনেমা দেখলাম। হৃদয়ের কোমল তন্ত্রীগুলো নাড়িয়ে দিয়ে গেল বিশুদ্ধ আবেগের কিছু মুহুর্ত।

প্রচারের আলোয় থাকা হিন্দি সিনেমাগুলো কোন না কোন ভাবে দেখা হয়েই যায়। ডাউনলোড করে, ধার করে, ইত্যাদি ইত্যাদি। "বারফি" সিনেমার ট্রেলার দেখে আর মুভি রিভিউগুলো পড়ে সিনেমাটি সম্পর্কে যা ধারনা হয়েছিল, দেখার পর মনে হল প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশিই পাওয়া গেল।

"বারফি" ছবিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৯ আর রোটেন টমেটো বলছে ছবিটির ৮৯% ফ্রেশ। অনুরাগ বসুর লেখা ও পরিচালিত ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন এস রবি বার্মান।

সংক্ষেপে সিনেমার কাহিনী এরকম - বোবা কালা মারফি/ বারফির (রনবীর কাপুর) জীবনের সাথে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ঝিলমিল (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) আর সুস্থ স্বাভাবিক মেয়ে শ্রুতির (ইলেনা ডি ক্রুজ) জীবন জড়িয়ে যায়। মারফির বিচিত্র হাস্যরসাত্মক কর্মকান্ড চলতে থাকে, একে একে আসতে থাকে অপহরন আর খুন রহস্য, সেই সাথে এক অদ্ভুত মানবিক আর আবেগঘন কাহিনীর অবতারনা হতে থাকে।


আমাদের সামাজিক মানুষেরা পরিচ্ছন্ন আবেগের প্রকাশ খুব কম ঘটাতে পারি, নানা কারনেই। সেই কারনেই শিশু আর প্রতিবন্ধিদের আবেগের প্রকাশকেই অনেকটা পরিচ্ছন্ন আর বিশুদ্ধ বলা যেতে পারে । দুজন প্রতিবন্ধি মানুষের ভালবাসা আর আবেগের জায়গায় মেকি কোন ভাব থাকতে পারে না। আমাদের সামাজিক মানুষেরা এই বিশুদ্ধ  আবেগের কাছে স্পর্শ পেয়ে হঠাৎই দুফোটা চোখের জল ফেলে। "বারফি" এমনই এক অনুভূতি দিয়ে গেল।

আবেগঘন পরিবেশ তৈরী করে দর্শকের মন ছুয়ে যাওয়ার একটা প্রবনতা হিন্দী সিনেমার পরিচালকদের থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সবসময় এই চেষ্টা সফল হয় না। "বারফি" এই প্রচেষ্টায় সফল। কাহিণী গড়ানোর সাথে সাথে আবেগের কামড় দর্শকের মনে ভালই দাগ কাটবে।

সিনেমায় রনবীরের বোবা কালার অভিনয় অনবদ্য, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ঝিলমিল চরিত্রের কথা আমার অন্তত অনেকদিন মনে থাকবে, ইলেনা চমৎকার অভিনয় করেছেন, সর্বোপরি দার্জিলিং এর মনোমুগ্ধকর লোকেশন সিনেমাটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

No comments:

Post a Comment